ইসলামের আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআন। এটা আল্লাহর চিরন্তন বাণী। এটি পবিত্র, বিশুদ্ধ এবং পাক পবিত্র না হলে কেউ একে স্পর্শ করতে পারবে না। নিশ্চয়ই এটি মহিমান্বিত কুরআন। যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, যারা সম্পূর্ণ পূত-পবিত্র, তারা ছাড়া অন্য কেউ তা স্পর্শ করবে না। এটি বিশ্ব প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ। (৫৬ : ৭৭-৮০)

পবিত্র কুরআনে ১১৪ টি সূরা রয়েছে, ৮৯ টি মাক্কি সূরা এবং ২৫ টি মাদানী সূরা। সূরার অর্থ মর্যাদা, উচ্চতা, পিচ, সীমানা এবং রহমত। এটি সূরা অনুযায়ী পবিত্র কুরআনে মোট ৩০টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে এবং পবিত্র কুরআনে মোট ৬২৩৬ টি আয়াত আছে।

আয়াত হল একটি শব্দ যা চিহ্ন বা বিস্ময় বোঝায়। এর অর্থ হল পবিত্র কুরআনের প্রতিটি আয়াতই আল্লাহর মহিমার প্রতীক। আর প্রতিটি আয়াত এই অর্থে একটি অলৌকিক ঘটনা যে, মানবজাতি, জ্বীন বা ফেরেশতা যাই হোক না কেন, কোন প্রাণীই এটি তৈরি করতে পারে না এবং এতে মোট ৭৭,৪৩০ টি শব্দ রয়েছে।

পবিত্র কুরআনের উপকারিতা :
* কিয়ামতের দিন কুরআন আপনাদের জন্য প্রমাণ হবে।
* এই জীবনে আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
* কিয়ামতের দিন কুরআন আপনার জন্য সুপারিশ করবে।
* আপনি হবেন শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্য থেকে অন্যতম একজন।
* কুরআন তেলাওয়াতকারীরা সম্মানিত ও আনুগত্যকারী ফেরেশতাদের সাথে থাকবেন।
* কুরআন আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
* আপনার কুরআন থেকে আবৃত্তি করা প্রতিটি অক্ষরের জন্য ১০ টি পুরস্কার রয়েছে। এমনকি কুরআন      দেখলেও সওয়াব পাওয়া যায়।
* জান্নাতে আপনার অবস্থান কুরআনের সাথে আপনার বোঝার দ্বারা নির্ধারিত হয়।

কুরআনের একটি বিস্ময় হল যে, কেউ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এর পাঠ্যের একটি অক্ষরও পরির্বতন করতে পারেনি, কারণ আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা) বলেছেন, আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। (১৫:৯)

এটি পবিত্র কুরআন, ধর্ম নির্বিশেষে সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণ নির্দেশিকা, রহমত, ক্ষমা, মোজেজা এবং অলৌকিক ঘটনা।

আসুন জেনে নিই কুরআনের অভ্যন্তরে কি আছে এবং যারা কুরআন পড়তে পারেন এবং যারা কুরআন পড়তে পারেন না তাদের জন্য এই বইটির মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের রহস্য উদঘাটন করি।